বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : হোয়াটওয়াশ করতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২-১ এ টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯৩ রান তাড়া করে সৌম্য রিয়াদ শামিমের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৪ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতল টাইগার বাহিনী।
রোববার (২৫ জুলাই) হারারেতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্যটা ছিল একটু বড়ই। জিততে হলে ১৯৪ রান নিতে হবে। জয়ের লক্ষে খেলতে নেমে দলীয় ২০ রানে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন নাঈম (৩)। তার বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ৭.৪ ওভারে দলীয় ৭০ রানে নাঈমের মতো ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় করেন ২৫ এ অলরাউন্ডার। সৌম্য এবার জুটি গড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে। ৪০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন এ ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে রিয়াদের সঙ্গে ৩৫ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। দলকে জয় উপহার দিতে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৩.৩ ওভারে দলীয় ১৩৩ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রান করেন সৌম্য। সৌম্য আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। পাঁচ বল খেলে ১৪ রান নিয়ে আউট হন।
এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী হন দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক হওয়া শামীম পাটোয়ারি। একটু আগেই নামানো হয় তাকে। এ জুটিতে আসে ৩৭ রান, মাত্র ১৯ বলে। জয় থেকে সামান্য দূরে থাকতে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ নেন চাকাভা। ২৮ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
শেষটা করেন বলতে গেলে শামীম হোসেনই। তার সঙ্গে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ১৫ বলে তিন চার ও দুই চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আগের ম্যাচে ১৩ বলে ২৯ রান করেছিলেন শামীম। ৪ বলে এক রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
এর আগে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। দলের পক্ষে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাধেভেরে। চার হাকান ছয়টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে চাকাভার ব্যাট থেকে। ২২ বলে তিনি করেন ৪৮ রান। তিনি বাউন্ডারি হাকাননি। তবে ছক্কা হাকিয়েছেন ছয়টি। শেষের দিকে ১৫ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন রায়ান বার্ল। ২১ বলে ২৩ রান করেন ডিওন মায়ার্স। ওপেনার মারুমানি ২০ বলে করেন ২৭ রান। তিনি সমান দুটি করে চার ও ছক্কা হাকান।
বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার নেন দুটি উইকেট। সাকিব, শরিফুল ও সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (মারুমানি ২৭, মাধেভেরে ৫৪, চাকাভা ৪৮, রাজা ০, মায়ার্স ২৩, বার্ল ৩১*, জঙ্গুয়ে ১*; তাসকিন ২-০-২৮-০, সাইফ ৪-০-৫০-০, শরিফুল ৪-০-২৭-১, সাকিব ৪-০-২৪-১, নাসুম ৩-০-৩৭-০, সৌম্য ৩-০-১৯-২)।
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৯৪/৫ (নাঈম ৩, সৌম্য ৬৮, সাকিব ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, আফিফ ১৪, শামীম ৩১*, সোহান ১*; রাজা ১-০-১৩-০, চাতারা ৪-০-২৭-০, মুজারাবানি ৪-০-২৭-২, মায়ার্স ৪-০-৪২-০, জঙ্গুয়ে ৩-০-৪২-২, মাসাকাদজা ৩.২-০-৩৭-১)।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।