বিএনএ, ঢাকা: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে প্রান্ত দাস (২০) নামে এক প্রেমিকের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত প্রান্ত দাস আড়াইহাজার উপজেলার কলাকাচিয়া গ্রামের বকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। পাশের এলাকার একটি সেলুনে কাজ করত।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মারধরের শিকার হয়ে প্রান্ত মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে তার পরিবারের অভিযোগে জানা গেছে, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত প্রান্তের বাবা বকুল চন্দ্র দাস ও চাচা অনুকূল চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাতে তারা খবর পান একই গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের বাড়িতে আটকে রেখেছে প্রান্তকে। তখন ওই বাড়িতে গেলে বাবুল চন্দ্র দাস তাদের কাছে অভিযোগ করে, চুরির উদ্দেশ্যে তাদের বাসায় গিয়েছেন প্রান্ত। তখনই তাকে হাতেনাতে আটক করেছে তারা। রাতেই গ্রাম্য বিচারকদের সাহায্যে প্রান্তকে তারা সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তারা আরও জানান, বাবুলের মেয়ের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রান্তর। বিষয়টি এলাকার কমবেশি সবাই জানতো। বুধবার রাতে মেয়ে প্রান্তকে ফোন করে ডেকে তাদের বাড়িতে নেয়। তখনই ওই মেয়ের বাবা বাবুল এবং বড় ভাই সাগর তাকে আটকে হাত পা বেঁধে মারধর করে। ঘটনার পরের দিন প্রান্ত মারধরের কথা তাদের কাছে জানায়। তখন তার পিঠে বিভিন্ন অংশে রক্তজমাট বাধা অবস্থায় দেখতে পান তারা। ওই দিন স্থানীয় হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর রোববার সকালে তাকে আবার আড়াইহাজার উপজেলায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান তারা। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রান্তর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকেই তার প্রেমিকার বড় ভাই সাগর চন্দ্র দাসকে আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মৃত প্রান্তর পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি নন। গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে জানান।
বিএনএনিউজ/আজিজুল হাকিম,বিএম