বিএনএ, রাঙামাটি: রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’। রোববার (২৫ জুন) এই বিশ্রামাগারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।
জানা গেছে, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ২৫ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। বিভিন্ন জেলায় সেবা গ্রহীতাদের চাহিদা অনুযায়ী এই প্রকল্পটিকে দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্য একটি ‘এ’ টাইপ যার আয়তন ১ হাজার বর্গফুট এবং অন্যটি ‘বি’ টাইপ যার আয়তন ৮০০ বর্গফুট। রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগ মোট ৪৮ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানা যায়।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের বিচারপ্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কোনো নাগরিক যাতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিচারপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় এবং দ্রুত স্বচ্ছতার সাথে বিচারিক সেবা পায় সেজন্য সরকার নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক বিচারপ্রার্থী আদালত প্রাঙ্গনে যাওয়া-আসা করেন। নিম্ন আদালতগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেলেও অধস্তন আদালতগুলোতে এজলাস কক্ষের বাইরে বিচারপ্রার্থীদের তেমন কোন বসার স্থান না থাকায় নারী ও বয়স্ক মানুষজনকে বিভিন্ন ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই সংকট নিরসনে বিচারপ্রার্থী জনগণের কথা চিন্তা করে প্রধান বিচারপতি দেশের প্রতিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিশ্রামাগার নির্মাণের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেছেন। এই ন্যায়কুঞ্জে বিচারপ্রার্থী জনগণ বসার স্থান, সুপেয় পানি, টয়লেটসহ নানান সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হবে। এর ফলে আদালত প্রাঙ্গণে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং সেবাগ্রহীতাদের জন্য প্রদত্ত সেবার মান আরো উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিজ্ঞ পিপি, আইনজীবীগণ ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন,বিএম