বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ) এর বাস্তবায়নাধীন ‘কর্ণফুলী (বামতীর) আবাসিক এলাকা’র মাস্টারপ্ল্যানে থাকা খেলার মাঠের ৩০ কাঠা জমি ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিডিএ এর বিরুদ্ধে।
বিক্রি করা জমিতে পিডিবি এখন তিনতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন নির্মাণ করেছেন। অথচ মইজ্জ্যারটেক আবাসিক এলাকার বিশাল এই জমিটি ছিলো স্কুল ও খেলার মাঠের জন্য বরাদ্দ। স্বয়ং সিডিএ তা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে বরাদ্দ রেখে প্লট মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৩০ বছর আগে।
সিডিএ কতৃক অনুমোদিত কর্ণফুলী আবাসিক প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, পিডিবির কাছে বিক্রিত জমিটি বরাদ্দ ছিলো স্কুল ও খেলার মাঠের জন্য। এ প্রকল্পের সবচেয়ে বড় জমি ছিলো এটি।
কিন্তু তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই খেলার মাঠের ৩০ কাঠা জমি পিডিবি’র কাছে বিক্রি করে দিলেন সিডিএ। যার দলিল নম্বর-৯০৯৬৭। দলিলে পিডিবি’র পক্ষে চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেম এর প্রকল্প পরিচালক (প্রধান প্রকৌশলী) মো. আবদুল মোত্তালিব ও সিডিএ’র পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন সচিব। চট্টগ্রাম সদরের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার খন্দকার জামিলুর রহমান দলিলে স্বাক্ষর করেন।
পরে পিডিবি ও কর্ণফুলী আবাসিক এলাকা গড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পটিয়া সাব-স্টেশন) এর জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড লিজ চুক্তি করেন। ২০১৬ সালের ৩১ শে জুলাই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ৯৯ বছরের জন্য জমিটি লিজ দেওয়া হয় পিডিবি’কে। লিজ মানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমি ভাড়া দেওয়া।
দলিলে লিজ ইজারাদাতা হলেন-চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। লিজ ইজারা গ্রহীতা হলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াপদা ভবন (২ তলা), মতিঝিল সি/এ ঢাকা পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন-চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেম এর প্রকল্প পরিচালক প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মোত্তালিব।
দলিলে জমির পরিমাণ দেখানো হয়-৩০ কাঠা বা ২১ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৮৬ স্কয়ার ফিট। এ জমির মূল্য ধরা হয় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে, কাঠা প্রতি দাম পড়ে ১৫ লাখ টাকা। এক কাঠা সমান ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জমির অবস্থান দেখানো হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক এলাকা। মৌজা চরফরিদ। উপজেলা কর্ণফুলী (সাবেক পটিয়া)।
আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সিডিএ শাখায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর নামে করা ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমির টাকাটা ডিপোজিট করেন পিডিবি। দলিলে জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বলা হয় পিডিবির সাব স্টেশন নির্মাণ। কথা মতো ওই জমিতে পিডিবি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফেলেছেন।
চুক্তির দ্বিতীয় পৃষ্টায় শর্তের প্রথমেই রয়েছে, এই ৩০ কাঠা জমির বিপরীতে ইজারা গ্রহীতা পিডিবিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম কিস্তি হিসেবে সমস্ত টাকা পরিশোধ করবেন। দ্বিতীয় শর্তে রয়েছে, ইজারা গ্রহীতাকে নিয়মিতভাবে ইজারাদাতা, সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমস্ত হার, কর, চার্জ, শুল্ক, মূল্যায়ন, আরোপ, শুল্ক, ভ্যাট এবং অন্য যেকোন আরোপিত কর পরিশোধ করতে হবে।
এ জমির উপর ভবিষ্যতে সেখানে নির্মিত হওয়া যেকোন ভবন বা কাঠামোর উপর প্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্য ট্যাক্স চার্জ দখলদারের উপর বলবৎ থাকবে। নির্মিত ভবন প্রাঙ্গণের আশেপাশের ড্রেন, নর্দমা এবং স্যানিটারি ব্যবস্থাসহ সমস্ত কিছু আইন অনুযায়ী পিডিবিকে মেনে চলতে হবে। সঠিক সময়ে মেরামত ও স্যানিটারি অবস্থা ভালো রাখতে হবে। এই চুক্তিতে অন্য ধারায় যা থাকুক না কেন, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে প্রাপ্ত জমির ক্ষতিপূরণের প্রাক্কলনের ভিত্তিতে প্রিমিয়ামের উপরোক্ত হার নির্ধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কোনো সংশোধিত প্রাক্কলন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশোধিত হতে হবে এবং উন্নয়ন কিংবা সংরক্ষণ কাজের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেলে অথবা অন্য কোনো কারণে হলে বর্ধিত প্রিমিয়াম দিতে হবে। যখন এ কর্তৃপক্ষের দ্বারা দাবি করা হবে তখন লিজদাতাকে সিডিএ’র কাছে সম অর্থ পরিশোধ করতে হবে। লিজ দাতা ও গ্রহীতা পাবলিক দাবি আদায় আইন ১৯১৩ মেনে চলবেন।
জমির তপশীলসহ দলিলের অন্যান্য অংশে আরো তথ্য পাওয়া যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কতৃক সৃজিত লে-আউট প্ল্যানটি অনুমোদন হয় ১৯৯৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী। যার প্ল্যান নং-টিপি/এফ-মাইস-৭/৯৮এ। এমনকি পিডিবির সাব স্টেশনের জমিটি সংযুক্ত প্ল্যানে বর্ণনা করা হয়েছে হলুদ রঙে চিহ্নিত করে।
যার আরএস প্লট নং-২৪৭ এর আংশিক, ২৪৮ এর আংশিক, ২৪৯ এর আংশিক, ৮৯৭ এর আংশিক, ৮৯৮ এর আংশিক, ১৫৮৯ এর আংশিক, অনুরুপ বিএস খতিয়ান নম্বর-৩৭৭, ২৯৮,৩৫৬, ২৮০,৩৮০ এবং ১৩৬। বিএস প্লট নং-৩৩৭ এর আংশিক, ৩৭৪ এর আংশিক,৩৮৫ এর আংশিক, ৩৭৫ এর আংশিক, ৩৭৭ এর আংশিক এবং ৩৭৬ এর আংশিক।
অন্য সূত্রে জানা গেছে, একই প্রকল্পের একই মাষ্টারপ্ল্যানের সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক এলাকার ১৫ দশমিক ১১ কাঠা জমি কর্ণফুলী থানা কাম-ব্যারাক নির্মাণের জন্যও বিক্রি করে সিডিএ। ২০১৪ সালের ৩০ জুন জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারকমূলে ওই ১৫ কাঠা জমি কিনে নেন সিএমপি।
জমির মালিক সিডিএ কে এক কোটি টাকা পরিশোধ করে সিএমপি। পরবর্তীতে আরো দশমিক ১১ কাঠা জমি সিডিএ থেকে কেনা হয়। কিন্তু পুলিশ সদর দফতর থেকে ৮ তলাবিশিষ্ট থানা ভবন নির্মাণের যে নকশা পাঠানো হয়েছে, সেই নকশায় সিডিএ’র জায়গায় ভবন হবে না। নকশা অনুযায়ী আরো সাড়ে তিন কাঠা জমি প্রয়োজন। এতে থানা ভবন নির্মাণ কাজ থমকে থাকে।
জানা যায়, সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিকের এ প্রকল্পে ৫১৯ জনের প্লট রয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও সিডিএ-ওয়াসার রশি টানাটানিতে আটকে আছে এ প্রকল্পের স্থাপনা নির্মাণ। নিজেদের কেনা জমিতে বাড়ি করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই প্রকল্পের পাঁচ শতাধিক প্লট মালিক।
কিন্তু এরমধ্যে একে একে খেলার মাঠের জমি বিক্রি করে দিচ্ছে সিডিএ। অথচ, ১৯৯৪ সালে প্রায় ৫০ একর জায়গায় ৫১৯টি প্লট সম্বলিত কর্ণফুলী (বামতীর) আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। সেই থেকে পানি সঙ্কটের অজুহাতে ঝুলিয়ে রয়েছে প্রকল্পটি।
কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘সিডিএ কর্ণফুলী বাম তীর প্রকল্পের উন্নয়নে সিডিএ সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গ্রাহকদের থেকে দুই আড়াই যুগ আগে চড়া দামে প্লট বরাদ্দ দেয়। প্রজেক্ট প্রোফাইলে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কবরস্থান, খেলার মাঠ, মসজিদ, শপিংমল, নালা নর্দমাসহ যাবতীয় ইউটিলিটি সূবিধা প্রদানের সুস্পষ্ট শর্ত আছে। এতদসত্ত্বেও সিডিএ পানি সরবরাহ করেনি। ফলে ৫১৯ টি প্লট মালিকের বাড়ী করার স্বপ্ন সেই তিমিরেই রয়ে গেল। অনেক প্লট মালিক দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, অনেকে বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। কিন্তু সিডিএ র বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ওয়াসার সাথে পানি সরবরাহের ব্যাপারে কোন বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে, ভান্ডারজুড়ি প্রকল্পের পানি সংগ্রহের সুযোগ থাকার পরও ওয়াসা সেখানে সংযোগ দিতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিডিএ প্লট মালিকদের পানি সরবরাহ করতে আইনত বাধ্য। তাঁরা মাস্টারপ্ল্যান লঙ্ঘন করে খেলার মাঠের বিশাল অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন। কর্ণফুলী থানার জন্যও প্লট বিক্রি করে তা অন্য খাতে সরিয়ে ফেলে। প্রকল্পের উন্নয়নে ব্যয় করেনি। সিডিএ এতোগুলো মানুষের নাগরিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমরা এ ব্যাপারে সরকার ও সিডিএ চেয়ারম্যানসহ বোর্ড মেম্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, ‘সিডিএ মাস্টারপ্ল্যানের খেলার মাঠের জমি থানা ও পিডিবিকে বিক্রি করে দিয়েছেন। যা আইনের লঙ্ঘন। স্কুল ও খেলার মাঠের জমি বিক্রি করে সেটা টাকা আবাসিক প্রকল্পের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারতেন। কিন্তু তাও করেনি। বেশ কিছুদিন আগে ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের পানি কর্ণফুলী আবাসিকে সরবরাহের নিশ্চিতের কথা জানিয়েছিলেন ওয়াসার এমডি। কিন্তু এখনো আমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। উল্টো জমি বিক্রি করে দিচ্ছে সিডিএ।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কর্ণফুলী ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুরাদ বলেন, ‘কর্ণফুলীতে দিন দিন খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানের খেলার মাঠ বিক্রি করে দেওয়া মানে আমাদের জন্য অশনি সংকেত। এ ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এমনকি যে প্রতিষ্ঠান খেলার মাঠ কিনেছে তাঁদেরও খোঁজ খবর নিয়ে জমি কেনা প্রয়োজন ছিলো।’ একই কথা জানালেন ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ মারুফ ও শাহরিয়ার মাসুদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আকবর হোসেন বলেন,’ বিষয়টি আমি জানি না। তবে নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হয়তো কিছু বলতে পারবেন।’
কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক উপ-কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পটিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী প্রকৌশলী আ. স. ম. রেজাউন নবী বলেন, ‘মইজ্জ্যারটেক উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছেন পেইজ-৩ প্রজেক্ট থেকে। আমি জানি না কোন মাস্টারপ্ল্যানের খেলার জমির উপর ভবন করা হয়েছে কিনা। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা সিডিএ এবং পিডিবির হায়ার অথরিটি কাজটি করেছেন। আপনি তাঁদের সাথে কথা বলতে পারেন।’
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক পূর্ত নির্মাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতীতি চাকমা বলেন, ‘খেলার মাঠে পিডিবি অফিস করেছে কিনা আমি বলতে পারব না। তবে মইজ্জ্যারটেক পিডিবি উপকেন্দ্রটি যে প্রজেক্টের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁরা হয়তো কিছু বলতে পারবেন জমিটি খেলার মাঠ কিনা। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ) এর এস্টেট অফিসার (বিল্ডিং) মো. আলমগীর খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রকল্পের পিডি জানবেন।’ একই কথা জানালেন সিডিএর ল্যাণ্ড শাখার এসেস্ট অফিসার মো. সাদেকুর রহমানও।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণ বিভাগ-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর হাসান বলেন, ‘কর্ণফুলী আবাসিক প্রকল্পের কোন পিডি নাই। যেহেতু প্রকল্প শেষ হয়েছে অনেক আগেই। খেলার মাঠের জমি মনে হয় বিক্রি করা হয়নি। মাঠ আছে তো পাশে। মাঠের জমি বরাদ্দের বিষয়ে আপনি উপ-সচিবের সাথে কথা বলতে পারেন। উনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব অমল গুহ বলেন, ‘ওটা নির্মাণ বিভাগ-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর সাহেব দেখেন। উনি বিষয়টি হ্যাণ্ডেল করেন। আমার সাথে তো এ বিষয়ে কথা বললে হবে না। আর খেলার মাঠ বিক্রি করা হয়েছে কিনা কাগজপত্র দেখে বলতে পারব। এর আগে বলতে পারব না।’
এভাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একে অন্যের উপর দায় এড়িয়ে নিজেদের রক্ষা করার কৌশল অবলম্বন করলেও কর্ণফুলীর বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড় ও প্লট মালিকরা খেলার মাঠের জমি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম/ হাসনা