বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের শেষের দিকে কাটপিস সিনেমার আগ্রাসন শুরু হয়। তখন অশ্লীলতার যাতাকলে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা হলবিমুখ হতে শুরু করেন। ঠিক ওই সময়ে ঢালিউডে ঝড় তুলে আগমন ঘটে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর। কাটপিস সিনেমার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন চিত্রনায়িকা ময়ূরী। স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বেশ কিছু অশ্লীল সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। পরে দেশীয় চলচ্চিত্র সুস্থ ধারায় ফিরলে অন্তরালে চলে যান এই নায়িকা।
দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন। তবু বিভিন্ন সময় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। এখন ধর্ম-কর্মে বেশ মনোযোগী। নামাজ-রোজা আর ইবাদত-বন্দেগি করে সময় পার করছেন তিনি। রাজধানীর অদূরে টঙ্গীতে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ময়ূরীকে ‘অশ্লীল সিনেমার নায়িকা’ বলায় ব্যথিত হয়েছেন তিনি। বিষয়টি উল্লেখ করে অঝোরে কাঁদেন এই ঢাকায় চলচ্চিত্রের এই নায়িকা ময়ূরী। তার দাবি-‘তিনি কোনো অশ্লীলতা করেননি। আর যদি করেও থাকেন তাহলে তার বিপরীতের নায়কেরাও অশ্লীল।’
‘আমি কী কখনো অশ্লীল সিনেমা করেছি?’-এই প্রশ্ন রেখে ময়ূরী বলেন, আমি যাদের সঙ্গে অভিনয় করেছি তারাও তো অশ্লীল। শুধু আমাকে কেন অশ্লীল বলা হচ্ছে?
দীর্ঘ বিরতির পর দুই বছর আগে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন ময়ূরী। বলিউডের ‘ডার্টি পিকচার’ সিনেমার মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে ‘বদমানুষের’ মুখোশ তুলে ধরার কথাও জানান এই অভিনেত্রী। কিন্তু তারপর আর দেখা নেই এই নায়িকার। তিনি জানিয়েছেন, এই সিনেমার জন্য নায়িকা পাচ্ছেন না।
১৯৯৮ সালে ‘মৃত্যুর মুখে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ময়ূরী। এ পর্যন্ত তার অভিনীত তিনশ’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ শিরোনামের সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ময়ূরী।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ