বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর ডেমরার ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবক অতিরিক্ত গরম সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল মেহেদী হাসানের। চিকিৎসকদের ধারণা, হিট স্ট্রোকেই মারা গেছেন মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান ডেমরার ইষ্টার্ন হাউজিং বাঁশেরপোল আমিনবাগের জুয়েল মন্ডলের একমাত্র ছেলে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় অচেতন হয়ে পড়ে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্হানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালা ইসরাত জাহান দিবা জানান, ‘আমার ভাগনে মেহেদী হাসানের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, হিট স্ট্রোকেই মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মেহেদী। বাবা-মার ইচ্ছায় তিন মাস আগে বিয়ে করে সে। আগামী শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার। বৃহস্পতিবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার কথা। কিন্তু বুধবার দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ সে গরমে অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার বমি করে। বাসায় তাকে বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পরে রাতে মেহেদীর অবস্থা বেশী খারাপ দেখে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাতে দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইসরাত বলেন, ‘ভাইরে, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে জ্যামে (যানজট) আমার কোলেই অচেতন হয়ে পড়ে আমার ভাগ্নে। আমি সবই চেয়ে চেয়ে দেখলাম, কিছুই করার ছিল নারে ভাই। কী করে তরতাজা একটি যুবক গরম সইতে না পেরে অসময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে বুধবার সকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নারীসহ ৪ জনকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরমধ্যে ডেমরা থেকে আসা মেহেদী হাসানকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর তিনজনকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেহেদী হাসানের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ আজিজুল হাকিম/ বিএম