বিএনএ ঢাকা: জরুরি পণ্য পরিবহণ ছাড়া সোমবার(২৬ এপ্রিল) থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বন্ধ হচ্ছে । রোববার(২৫ এপ্রিল) আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ভারতে করেনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এই সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার।তবে আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ১৪ দিন মানুষের যাতায়াত বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলবে।এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় শুধু বাস্তবায়ন করবে বলে জানান তিনি।
এদিকে,করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের পাশাপাশি অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমা পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি।দেশটির অন্তত পাঁচটি রাজ্য বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা। সেগুলোর অবস্থাও আশংকাজনক। এমন অবস্থায় বন্ধ আছে নিয়মিত ফ্লাইট। তবে এয়ার বাবলের আওতায় চলছে বিশেষ বিমান। খোলা আছে ১১টি স্থলবন্দর। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে অতি জরুরি ছাড়া সব যোগাযোগ বন্ধের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, হাহাকার আর আহাজারির নগরে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। প্রতি মুহূর্তে তৈরি হচ্ছে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। হাসাপাতালগুলোতে তিল ধারণের সুযোগ নেই ।
আইসিইউ, অক্সিজেন, জরুরি ওষুধ, মেডিকেল সরঞ্জামাদি সবকিছুরই তীব্র সংকট। জরুরি সেবার অভাবে খুব কম সময়ের মধ্যেই রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে যেন সময়ই নিচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করলো বাংলাদেশ সরকার।
বিএনএনিউজ/আরকেসি