বিএনএ,ডেস্ক : আওয়ামী লীগ উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তারা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না—এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। শুধু দলীয় পরিচয় ব্যবহার করা নয়, এক্ষেত্রে আরও কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও থাকছে। দলের কোন্দল কমাতে এবং বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামার দায়-দায়িত্ব যেন আওয়ামী লীগের ওপর না বর্তায় সেটি এড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
দলীয় প্রতীক না থাকায় এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ৮-১০ জন প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন—এমন শঙ্কার কথাও জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের টিকিটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, যারা মনোনয়ন পাননি এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন তারা প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিতে চাইছে। এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ বা অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তারা প্রচারণায়ও নেমেছেন।
প্রথম দফায় যে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এতে একেকটি উপজেলায় ৭-৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। যদি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেন তবে সেখানে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে যাবে। কাজেই আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, উপজেলা নির্বাচনে যিনি অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি দলীয় পদ-পদবী বা পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন পোষ্টারে কেউ যদি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যে, কোন প্রচার প্রচারণাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা আওয়ামী লীগের অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। লেখা যাবে না আওয়ামী লীগে প্রার্থীর অবদান ইত্যাদিও ।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছে, যদি দলীয় পরিচয় এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা না যায় তাহলে এ নির্বাচনটি উন্মুক্ত হবে এবং সে নির্বাচনের কোন দায়-দায়িত্ব আওয়ামী লীগের ঘাড়ে আসবে না। তবে আওয়ামী লীগ বার বার করে সতর্ক করে দিচ্ছে যে, মাঠ পর্যায়ে যারা উপজেলা নির্বাচন করবেন তারা কোন অবস্থাতেই যেন সহিংসতার আশ্রয় না নেন। সহিংসতা যদি কেউ করে, এজন্য যে দায়ী থাকে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজি