বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা জানায় এলিট ফোর্স।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৫ থেকে ৭ জন বখাটে তাদের তুলে নিয়ে যায়। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে প্রথমে তাদের মারধর করা হয়। সেখানে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ করেন তিনি নিজেই। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুদের ধর্ষণের ঘটনা জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয়দের হামলার শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রতিবাদ অব্যহত…
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনএ/ এ আর