বিএনএ,ঢাকা:পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের চূড়ান্ত বিচারের রায় এই বছরের মধ্যেই করার দাবি করেছে বিএনপি।২০০৯ সালের সেই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে কারা, জাতির সামনে তা তুলে ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানায় দলটি।
পিলখানা ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব দাবি জানান, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সে সময় তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১২টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি।বিচা্রের দীর্ঘ সূত্রিতা শহীদ সেনাসদস্যদের হতাশ করেছে, দেশবাসী মর্মাহত হয়ে্ছে।এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।এই বছরের মধ্যে লিফ টু আপিল এবং আপিলের কার্য্ক্রম শুরু হবে-এমন কোনো কোনো লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কামনা করছে বিএনপি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর বেনিফিশিয়ারি কারা, সেটিও দেশবাসী পরিষ্কার জানতে চায়।সেইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনী থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ইতোমধ্যে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দেয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।তবে সবাইকে আনা হয়নি, কয়েকজনকে আনা হয়েছে।এই হত্যাকাণ্ডে যারা পরিকল্পনাকারী, বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী তারা এখন পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে রয়ে গেছে।দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচিতি স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী,কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর,অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাঈদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হাসান, বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীমুর, শাহ খালেদ হাসান চৌধুরী, চেয়ারপারসনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিএনএনিউজ/আরকেসি