বিএনএ, জামালপুর: জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন স্থগিতই থাকছে। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনে স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বাবুর জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন।
গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেন। তার পরদিনই এ জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের শুনানির পর চেম্বার আদালত ২০ সেপ্টেম্বর বাবুর জামিন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে জামিন স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের শুনানিতে উঠলে আদালত তা নিষ্পত্তি করে স্থগিতাদেশ চলমান রাখেন।
গোলাম রব্বানী অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন।
গত বছর ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর গত বছর ১৭ জুন সাংবাদিক গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় মাহমুদুল আলমকে। তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল ওরফে রিফাত এই মামলার ২ নম্বর আসামি।
এ ছাড়া আরো ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় মামলায়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে। তবে মামলা হওয়ার আগে ১৭ জুন সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে মাহমুদুলসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব। ওই সময় প্রধান আসামিসহ সব মিলিয়ে ১৩ জনকে আটক করা হয় এ মামলায়। পরে সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলা হওয়ার পর বিভিন্ন সময় আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১৭ আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ তিনজন আদালতের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম/ হাসনা