বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ মো. আব্দুর রউফ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রামে আগামী চারদিন ২৫ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যারা এ আদেশ লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে সম্পূর্ণ ইভিএমে (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন ভোটার ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট দেবেন। এর থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটার হস্তানান্তারিত ও মারা যাওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গেছেন। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে এবার সিটি ভোটে পুরুষ ভোটার থাকছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন। মেয়র পদে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে, আর কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয় প্রতীকে। হালনাগাদের আগের তালিকায় থাকা ভোটারদের মধ্যে বেশ বড় একটা অংশ (ভোটাররা) মাইগ্রেট হয়েছেন (হস্তান্তর)। এছাড়া অনেকে মারা গেছেন। মাইগ্রেট ও মৃতদের বাদ দিয়ে এবং হালনাগাদে নতুন ভোটার ৮৫ হাজার ৮৪ জন অন্তর্ভুক্ত করেই এই চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে।” এরমধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় (নির্বাচনী থানা) ১৭ হাজার ৭৫৪ জন, চান্দগাঁও থানায় ১১ হাজার ৪৭৬ জন, কোতোয়ালী থানায় ৯ হাজার ৯৬৭ জন, পাহাড়তলী থানায় ১১ হাজার ৯৫৩ জন, ডবলমুরিং থানায় ১৫ হাজার ৮৫৭ জন এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৮ হাজার ৭৭ জন নতুন ভোটার হন।
নগরীর ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে এক লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ জন। আর সর্বনিম্ন ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ২৮৮ জন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সিটি এলাকার ভোটার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার এবং বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হয়। ইভিএমে ভোট হওয়ায় উপস্থিতি বাড়ানোর দিকেও নজর রয়েছে ইসির। আগামী বুধবার ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বিএনএনিউজ/মনির