30 C
আবহাওয়া
৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ - জুন ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নওফেলের ‘মা’ বদলের অভিযোগকারী কে এই সানজিদ?

নওফেলের ‘মা’ বদলের অভিযোগকারী কে এই সানজিদ?

নওফেলের ‘মা’ বদলের অভিযোগকারী কে এই সানজিদ

বিএনএ, চট্টগ্রাম: বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। একই সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪৫ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ড. মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী একমাত্র সংসদ সদস্য যিনি সংসদ সদস্য কোটায় গাড়ি নেননি, নেননি জমি বা ফ্ল্যাট। শুধু তাই নয়, সংসদ সদস্য হিসাবে নেননি সম্মানী, দেশের কোথায় বিনামূল্যে ভ্রমণ করেনি। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন অধ্যাপক ড. মাসুদ রশীদ চৌধুরী। তারই সন্তান ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি. এম কাদেরের উপদেষ্টা সানজিদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনের জাতীয় পার্টির টিকেটে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন পুত্র, শিক্ষা উপমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল।
ভোটের মাঠে নিসন্দেহে মেয়রপুত্র ব্যরিস্টার নওফেল হেভিওয়েট প্রার্থী। কিন্তু রাজনীতিতে নতুন মুখ ও নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী কে এই ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরী?

নওফেলের ‘মা’ বদলের অভিযোগকারী কে এই সানজিদ?
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। বসবাস করেন কোতোয়ালী থানার জুবলী রোড় এলাকায়। তিনি চট্টগ্রামের রাজনৈতিক এলিট পরিবারের সন্তান। তার পিতা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডিয়াম সদস্য সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এবিএম ফজলে রশীদ চৌধুরী। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তার চাচা। দাদা ছিলেন পাকিস্তান সরকারের বিরোধী দলীয় নেতা ফজলে কবির চৌধুরী। নানার নাম আবুল মনসুর। তিনি পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী ছিলেন। নানী মৌসুফা মনসুর বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী ও চট্টগ্রাম বাওয়া স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।

জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম -৯ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ সাংগঠনিক দিক থেকে শক্তিশালী নয়। তবে ভোটের আগে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নৈতিকভাবে পরাজিত করেছেন বলে দাবি করেছেন ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরী। তার অভিযোগ, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার গর্ভধারিনী ‘মা’ শাহেদা আক্তারকে অস্বীকার করেছেন। হলফনামায় তিনি তার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে ‘মা’ ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি অভিযোগ আকারে সানজিদ রশীদ নির্বাচন কমিশনকে জানায়। এতে সারাদেশে শুরু হয় তোলপাড়। যদিও সানজিদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ করেছেন? এর দালিলিক সত্যতা কতটুকু? এমন প্রশ্ন করা হয় ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরীকে। তিনি ব্যারিস্টার নওফেলের পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরী ও হাসিনা মহিউদ্দিনের একটি বিয়ের একটি নিকাহনামার একটি প্রতিলিপি উপস্থাপন করেন। এতে বিয়ের দিন উল্লেখ রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি। দেনমোহর উল্লেখ আছে এক লাখ টাকা। বিয়ে পড়িয়েছেন মৌলনা মোহাম্মদ উল্লাহ, তার পিতার নাম মরহুম হাফেজ ফকির আহমেদ। ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে ফেনী জেলার গোবিন্দপুর। বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর ওয়ার্ডের কাজী শফিক আহমদ। সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ২০ নম্বর শতীশ বাবু লেনের এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী ও চন্দনাইশ উপজেলার হরলা গ্রামের আব্দুল হাকিম।

ব্যারিস্টার সানজিদ রশীদ চৌধুরী তার অভিযোগের সমর্থনে দালিলিক প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করেন মেয়র পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর জাতীয় পরিচয়পত্র। এতে দেখা যায় ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর জন্ম ১৯৮৩ সালের ২৬ শে জুলাই। মাতা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে হাসিনা মহিউদ্দিনের নাম! সানজিদের প্রশ্ন ১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মহিউদ্দিন চৌধুরী ও হাসিনা মহিউদ্দিনের বিয়ে হলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফলের ‘মা’ হাসিনা মহিউদ্দিন হয় কীভাবে?

বিএনএনিউজ/ শাম্মী/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ