বিএনএ: আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে। সেরা গোলকিপার’-এর (গোল্ডেন গ্লাভস) পুরস্কার জিতেছেন মার্তিনেজ। জয়ের পর ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে মজা করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (এফএফএফ) নোয়েল লে গ্রায়েত এ নিয়ে অভিযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এফএফএ)। মার্তিনেজের উদ্যাপনকে ঠিক স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না গ্রায়েত।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘আউয়েস্ত-ফ্রান্স’ আজ গ্রায়েতের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে এফএফএফ সভাপতি জানিয়েছেন, মার্তিনেজের উদ্যাপন নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এএফএ সভাপতি ক্লাদিও তাপিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখেছেন তিনি।
গ্রায়েত মনে করেন, এ অনিয়ন্ত্রিত উদ্যাপন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সীমানার মধ্যে আর থাকেনি। মার্তিনেজের ‘উদ্যাপনের বিষয়বস্তুও বুঝতে পারেননি’ গ্রায়েত, ‘সে (মার্তিনেজ) সীমা লঙ্ঘন করেছে। টুর্নামেন্টজুড়ে (বিশ্বকাপ) এমবাপ্পের আচরণ উদাহরণ দেয়ার মতো ছিল।
বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে একটি শটও ঠেকিয়ে দেন কাতার বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’জয়ী মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ জয়ের পর উদ্দাম উদ্যাপনে মাতেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
ড্রেসিংরুমে মেসিরা যখন উদ্যাপন করছিলেন, তখন হুট করেই সবাইকে থামিয়ে দেন মার্তিনেজ। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন, ‘এক মিনিটের নীরবতা।’ এটুকু বলে মার্তিনেজ ক্ষণিকের জন্য থামেন। এরপর গানের সুরে বলেন, ‘এমবাপ্পের জন্য, যে মরে গেছে!’
কাতার থেকে আর্জেন্টিনায় ফেরার পর ছাদখোলা বাসে বুয়েনস এইরেসে মেসি-মার্তিনেজদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেদিন ছিল (২০ ডিসেম্বর) এমবাপ্পের জন্মদিনও। তাঁকে নিয়ে মজা করতে ছাদখোলা বাসে একটি পুতুল হাতে নিয়ে দাঁড়ান মার্তিনেজ। সেই পুতুলের মুখটা ছিল এমবাপ্পের। অর্থাৎ পুতুলের মুখে এমবাপ্পের মুখের ছবি বসানো হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদও জানান আদিল রামি।
ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মার্তিনেজকে উদ্দেশ করে রামি লেখেন, ‘সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ।’ আরেকটি পোস্টে রামি জানান, মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনুর ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জেতা উচিত ছিল। বিশ্বকাপে মাত্র ৩ গোল হজম করেন বুনু। পিএসজি তারকা এমবাপ্পেকে নিয়েও একাধিক পোস্ট করেন রামি।
বিএনএ/এ আর
