বিএনএ ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। অগুন লাগার পর তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও যৌথবাহিনী। আহতদের মধ্যে শেরে বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং ঢাকায় আনার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, দগ্ধ যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
দগ্ধদের অনেকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মইনুল হক বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর কাজ করেন তারা। এই ঘটনায় শতাধিক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে কয়েকশ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামের লঞ্চটি। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে সুগন্ধা নদীর ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে দপদপিয়া গ্রামের কাছে পৌঁছুলে লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। বেশিরভাগ যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ভোর ৩টা ২৮মিনিটে তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তাদের কর্মীরা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি