বিএনএ ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সব রোগীর অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সে সময় তিনি আরও বলেন, লঞ্চে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ দগ্ধ হয়েছে বেশি। ৮১ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখানে আসা সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জাহিদ মালেক বলেন, ইঞ্জিন রুম থেকে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সেখানে কিছু এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরণ হয়েছে। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাত সদস্যের একটি চিকিৎসক দল বরিশালে গেছে। তারা সেখানে চিকিৎসা দেবেন। ঢাকায় আসাদেরও সর্বাত্মক সেবা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে দগ্ধের ঘটনা বাড়ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কারখানায় মানুষ দগ্ধ হচ্ছে। তাই গত সপ্তাহে একনেকে একটি প্রকল্প পাস করা হয়। আটটি বিভাগের মধ্য পাঁচটি বিভাগে একশ বেডের বার্ন ইউনিট করা হবে। সেখানে সকল উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সরকার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করছে। দেশের বিভাগীয় শহরেও ক্যানসার হাসপাতাল হচ্ছে বলে জানান জাহিদ মালেক।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি