বিএনএ বরিশাল: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১২৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৭ যাত্রীকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালেও ভর্তি আছেন ৪৩ জন।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাতটা থেকে ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের হাসপাতালে নেয়া শুরু হয়। দগ্ধদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভর্তি থাকা বেশিরভাগ রোগীর হাত-পা ও মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। তবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে সার্জারি ইউনিটে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তিনি। ৫০ জন চিকিৎসক ও নার্সকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে দগ্ধ রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা চলছে ।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান জানিয়েছেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে ৫০ সদস্যের একটি দল বরিশালে আসছেন।
শুক্রবার ভোরের দিকে সুগন্ধা নদীর ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে দপদপিয়া গ্রামের কাছে পৌঁছুলে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি