বিএনএ ঝালকাঠি: ঢাকা থেকে বরগুনাগামী একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চ থেকে লাফ দেন ইউএনও এবং তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার। এতে ইউএনও’র স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
ইউএনও মোহাম্মদ আল মুজাহিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ শেষে বৃহস্পতিবার (২৩শে ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। তখন লঞ্চ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। এরপর বের হয়ে তড়িঘড়ি করে লঞ্চের সামনে গিয়ে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান তারা। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন, কিন্তু তীরে উঠতে পেরেছেন কিনা এনিয়ে সংশয় রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। অনেককেই নদীতে লাফিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে বলে জানান ইউএনও।
শুক্রবার (২৪শে ডিসেম্বর) ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি