বিএনএ ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হযেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর তল্লাশি চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও যৌথ বাহিনী । শতাধিক যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মইনুল হক বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তারা। এই ঘটনায় শতাধিক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, দগ্ধদের অনেকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে কয়েকশ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামের লঞ্চটি। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে সুগন্ধা নদীর ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে দপদপিয়া গ্রামের কাছে পৌঁছুলে লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে লঞ্চটি দিয়াকুল এলাকায় নদী তীরে নোঙর করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ভোর ৩টা ২৮মিনিটে তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তাদের কর্মীরা। ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তারা।
এদিকে, ভয়াবহ এ ঘটনায় মৃতদের স্বজনদের আহাজারিতে নদী পাড়ের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। থামছে না কান্নার রোল। প্রিয় মানুষটির খোঁজে নদী পাড়ে ভীর করছের স্বজনরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, জেলা প্রশাসক জোহর আলী। তিনি বলেন, এই ঘটনায় লঞ্চ কর্মকর্তাদের কোন ধরনের অবহেলা থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের কোন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা হয়তো অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন না হয় সাঁতরে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি