বিএনএ ঢাকা: দেশের একটি মানুষও ঠিকানাহীন থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও উন্নত জীবন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বুধবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির দেয়া ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সে সময় সংসদ নেতা বলেন, শত বাঁধা অতিক্রম করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতা ভোগ করার বস্তু নয়। ক্ষমতা মানে হচ্ছে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়া। বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন দেশে উন্নীত করতে চায় সরকার। এই ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই দেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সেই প্রত্যাশা করেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপকল্প অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ ভোট দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পারছে। রজতজয়ন্তী উদযাপনের সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো। বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মতো মহামারি মোকাবেলায় সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় চার কোটির মতো দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। টিকার কোনও অভাব হবে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সমাজের সব স্তরের মানুষ এই টিকা পাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
করোনার সময় খাদ্যের ঘাটতি মোকাবেলায় কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, দারিদ্রের হার ৩০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। করোনা মহামারি না থাকলে ১৭ ভাগে নামিয়ে আনা যেত। যেটির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও উন্নয়নের চাকা থেমে যায়নি।
দেশের প্রবৃদ্ধি আটভাগে উন্নতি হয়েছিলো জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী আজকে অর্থনৈতিক মন্দা। বিশ্বব্যাপী সমস্যার পরেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সব থেকে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। ১১টি অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সরকার দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য ভারতসহ বন্ধুপ্রতীম সব দেশ ও সমর্থনকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সরকার প্রধান।
বিএনএনিউজ/আরকেসি