26 C
আবহাওয়া
২:০৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪ জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪ জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

উপকূলের আরও কাছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’

ঢাকা :  ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলা প্লাবিত হতে পারে(Cyclone Dana News Live Updates)। এটি বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে পুরী ও সাগর দ্বীপের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পুরী-সাগরদ্বীপের মাঝেই ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা, ঝড় বইতে পারে ১২০ কিমি গতিতে!

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং অতি প্রবল বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বাতাসসহ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে আরো বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ উত্তর-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিস্টেম সেন্টারের কাছে সমুদ্র উত্তাল থাকবে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানায়,

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র গতির হেরফের ঘটলে ল্যান্ডফলের সময় এগিয়ে আসতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত গতিপথে কোনও হেরফের হয়নি। তাই ওড়িশায় নির্ধারিত সময়ে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে, তার সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গতেও পড়বে। ওড়িশা সংলগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরেই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সবচেয়ে বেশি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতাতেও তার রেশ অনুভূত হবে। (Cyclone Dana)

আবহবিদরা জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা ১ থেকে ২ মিটার। .৫ থেকে ১ মিটারের মতো জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাগুলিতে। কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও, দুপুর থেকে বৃষ্টি বন্ধ। কিন্তু সন্ধের পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে কলকাতায় হাওয়ার দাপট থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বৃষ্টি যে বাড়বে, তা শুক্রবার সারাদিন অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবারও বৃষ্টি কিছুটা চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন/এইচমুন্নী 

Loading


শিরোনাম বিএনএ