বিএনএ, সাভার : কুকুরের লালা থেকে জলাতঙ্ক মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী আক্তান্ত হয়। কামড় ছাড়াও অন্য যে কোনো মাধ্যমে যদি লালা কোনোভাবে প্রাণীর মধ্যে ছড়ায় তাহলে জলাতঙ্ক হতে পারে। এজন্য সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বক্তারা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, প্রতি নয় মিনিটে জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যায়। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে সেটি রোধ করা সম্ভব। এজন্য সচেতনতা প্রয়োজন।
তারা বলেন, বিশেষ করে শিশুদের কুকুর বেশি কামড়ায়। এজন্য শিশুদের বোঝাতে হবে। ঘুমন্ত কুকুরকে খোঁচা দিলে কুকুর কামড়ায়। তাকে খাবারের সময় বিরক্ত করলেও কামড়ে দেয়। এসব থেকে শিশুদের সচেতন করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আচর দিলে ভ্যাকসিন লাগবে কি না এমন প্রশ্ন আসে। রক্ত বের হওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নাই। মূল বিষয় কুকুরের লালা। সেটি লাগলে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এছাড়া কাঠবিড়ালি, ইঁদুর, সাপ এ জাতীয় প্রাণীর কামড়ে র্যাবিস হয় না। পাখি কামড়ালেও ভ্যাকসিন দরকার নেই।
বক্তারা বলেন, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কুকুর আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। সেটায়ও বিপদ রয়েছে। র্যাবিস আক্রান্ত কাঁচা মাংস ও দুধে এটি থাকতে পারে। তবে জ্বাল করা দুধ খাওয়া যাবে।
ধামরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, পৌরসভা এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুর ও অসুস্থ কুকুর পাওয়া গেলে সেগুলো চিকিৎসা করে দেওয়া হবে। আর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিয়ে কুকুরকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে হবে। সম্মিলিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে এটি থেকে বাঁচা যেতে পারে।
এতে ধামরাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. নূর-ই-রিফফাত আরা বলেন, মাসিক সভায় জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সব জনপ্রতিনিধিকে কিভাবে যুক্ত করা যায় সেটি তুলে ধরবো। কোভিড-১৯ এর সময়েও দেখেছি। বিষয়গুলোতে সবাই যুক্ত হলে সেটি সমাধান করা সম্ভব। জলাতঙ্কে যাতে কোনো মৃত্যু না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে। আমাদের টিকা রয়েছে। সেগুলো দেওয়ার জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। কেউ র্যাবিস আক্রান্ত হলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সেটি সবখানে প্রচারণা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, প্রসাশনিক ও জনপ্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/ইমরান/এইচ.এম।