বিএনএ, ঢাকা : ঘূর্ণিঝড়গুলোর উৎপত্তি এবং অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন নাম থেকে। যেমন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড়গুলোর উৎপত্তি তাদের ‘সাইক্লোন’ বলা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘টাইফুন’। আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড়গুলোকে বলা হয় ‘হারিকেন’। অনেক সময় স্থানীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর বিভিন্ন নাম করা হয়।
এবারের ট্রপিকাল সাইক্লোনের আনুষ্ঠানিক নামকরণের দায়িত্ব ছিল থাইল্যান্ডের উপর। থাইল্যান্ড ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে সিএাং ভিয়েতনামিজ এর ভাষায় এর অর্থ ‘পাতা’। প্রবাহিত ঝড়ের এমন বিচিত্র নাম এবারই প্রথম নয়। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই করা হচ্ছে।
প্রবাহিত ঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্বে রয়েছে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের আওতায় থাকা ১১ টি সর্তকতা কেন্দ্র এর ওপর।
থাইল্যান্ডে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ম্যাটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন এবারের সাইক্লোনটির নাম দিয়েছে সিত্রাং। ১১টি সর্তকতা কেন্দ্র ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে। এই সংস্থার আঞ্চলিক ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সব নাম জমা পড়ে থাকে। পরবর্তীতে সে জমাকৃত নাম গুলোর মধ্যে বাছাই এবং নির্বাচিত করা হয়। এবং সাইক্লোনের কোন একটি নাম চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে গেলে তা আর বদল করা যায় না।
বর্তমানে বাংলাদেশে সংঘটিত একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হতো বহু পূর্ব থেকেই। তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এই ঝড়ের নাম দেওয়া আগে বেশ একটা প্রচলিত ছিল না।
আনুষ্ঠানিকভাবে Q, U, X,Y, Z ব্যতীত Aথেকে W পর্যন্ত মেয়েদের নামে ঝড়ের নামকরণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইউএস ওয়েদার সার্ভিস ১৯৫৩ সালে। অবশেষে ১৯৭৮ সালে নারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে ছেলেদের নামেও ঝড়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বর্তমানে ট্রপিকাল সাইক্লোনের নামের তালিকা পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছে আঞ্চলিক কমিটির কাছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মায়ানমার, ইয়েমেন,কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এর আগেও ট্রপিকাল সাইক্লোনের আঞ্চলিক কমিটির কাছে নির্বাচিত হয়েছে, মালদ্বীপের ‘আইলা’ , বাংলাদেশের দেওয়া ‘ফণী’, থাইল্যান্ডের ‘আমফান’। এবারের সাইক্লোনটির নামকরণও সিত্রাং রেখেছে থাইল্যান্ড। শুধু সিএাং-ই নয় পরবর্তীতে ঝড়ের নামও ঠিক করা আছে আগে থেকেই। এর পরবর্তী ঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব, যার নাম হবে ‘মন্দোস’। এর পরবর্তী সংঘটিত হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন, যার নাম হবে ‘মোচা’।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।