সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে এক অসহায় মায়ের আর্তনাদে ব্যথিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। না চাইলেও চোখের অশ্রু থামাতে পারছে না স্থানীয় লোকজন। অঝোরে কাঁদছে আট সন্তানের জননী অসহায় বৃদ্ধা মা। উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের রশ্মিমপুর (নরসিংহপুর) গ্রামে মরিয়ম নামে এক শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে তার সন্তানেরা কোন খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মরিয়ম নামের ওই বৃদ্ধা মহিলার ৬ছেলে ও ২মেয়ে সহ আটটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে থেকে শুরু করে ছোট ছেলে পর্যন্ত সবাই প্রতিষ্ঠিত বলে জানা যায়। বড় ছেলে আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ এক্সিম ব্যাংকে চাকরি করতেন। ছোট ছেলে ডাক্তার। বাকি সবগুলো ব্যবসায়ী। এককথায় প্রতিটা সন্তানই প্রতিষ্ঠিত। তাদের সংসারে নেই কোন অভাব অনটন।
শুধু বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণ করতে যেন তাদের অভাবের শেষ নেই। ক্ষুধার জ্বালায় ঘুরে বেড়ায় এদিক সেদিক। না খেয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে ওই আট সন্তানের জননী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক বলেন, আলমগীর নামে তার এক ছেলেকে কিছু জমি লিখে দেয়। ঐ জমি লিখে দেয়ার পর থেকেই বাকি পাঁচ সন্তানেরা কোন খোঁজখবর নেয় না। ইদানিং দেখতেছি আলমগীরও বৃদ্ধার সাথে খারাপ আচরণ করে। শতবর্ষী বৃদ্ধা মহিলা বয়সের ভারে কুঁজু হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে অসুস্থতায় ভুগছেন। না খেয়ে দিন পার করছেন। তারপরও কোন সন্তান না দেয় খেতে না করে চিকিৎসা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, পাড়া প্রতিবেশী কেউ যদি খেতে দেয় তাদের খারাপ ব্যবহার করে বলেন আমাদের মা’কে তদের খাবার দিতে বলছে কে। এরপর যদি কেউ খাবার দেয় তাহলে তাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। এমনকি গতকাল হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও নিতে দেয়নি। তারা কোন খাবার বা চিকিৎসা করবে না আমাদেরও করতে দিবে না। তাঁর ছেলেরা কেন এমন করে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।
শতবর্ষী বৃদ্ধা মহিলার করুণ পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সির সাভার প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতিনিধির এক টিম (দল) চলে যায় ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের ওই বৃদ্ধার সন্তানদের বাড়িতে। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতি টের পেয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কোন সন্তানকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
বিএনএ নিউজ২৪, ইমরান খান,