বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কাজীপাড়া এলাকা থেকে বর্ষা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত বর্ষা খাতুন বসুন্ধরা শপিংমলে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।বর্ষার স্বামী কাজল মিয়া জানান, আমরা দুজনেই বসুন্ধরা শপিংমলে কাজ করি। আমি একটি দোকানে কাজ করি, আর আমার স্ত্রী বসুন্ধরা শপিংমলের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় রেখে আমি আমার কর্মস্থলে চলে আসি। পরে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পাই। পরে দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।পরে তাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বর্ষার বড় বোন শান্তা বেগম বলেন, আমার বোন কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাকে মারধর করা হতো। তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্ষা গাজীপুর সদরের কাশিমপুর বারান্ডা এলাকার মো. দুলাল ফকিরের মেয়ে। সে বসুন্ধরা শপিংমলের পেছনের একটি বাসায় স্বামী কাজলের সঙ্গে বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়না৷ তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরিবারের অভিযোগ থাকায় বর্ষার স্বামীকে পুলিশ ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে এবং তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিএনএ/ এসবি, ওজি/এইচ এ মুন্নী