বিনোদন ডেস্ক: অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে যে নায়ক সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন, তিনি সালমান শাহ। স্টাইলিশ আইকন হিসেবে নব্বইয়ের দশকে তরুণদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ক্ষণজন্মা এই অভিনেতা যে কটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সবগুলোই পেয়েছে ‘হিট’-এর তকমা।
এদিকে সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা বুলবুল আহমেদ। তার মেয়ে ঐন্দ্রিলাও নিয়মিত অভিনয় করতেন সে সময়। তবে শিশু বা কৈশোর কোনো চরিত্রে। তার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হতো সালমান শাহর। বুধবার (২৩ আগস্ট) সালমান শাহর মৃত্যুর ২৭ বছর পর তারই একটা ইচ্ছার কথা জানালেন ঐন্দ্রিলা।
এক সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সালমান শাহ আমাকে বলেছিল, ‘তুমি বড় হও, আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘মহা মৃত্যু’ নামে একটি প্যাকেজ নাটকের শুটিং সেটে এসেছিলেন সালমান শাহ। তখনো তিনি (সালমান শাহ) বলেন, ‘তুমি (ঐন্দ্রিলা আহমেদ) কিন্তু বড় হচ্ছ, তুমি আর একটু বড় হও, আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব।’
মূলত নব্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্রে নতুনত্ব নিয়ে আসেন সালমান শাহ। সবাই যখন অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত, তখন রোমান্টিক স্টোরি ভিন্ন আঙ্গিকে সামনে নিয়ে আসেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শক মহলে অনেক প্রশংসা পায়।
নব্বইয়ের দশকের জননন্দিত অভিনেতা সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। টেলিভিশন নাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু হলেও নব্বইয়ের দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। এই অভিনেতা সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সব কটিই ছিল ব্যবসাসফল।
সালমান শাহর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), সৈকতে সারস (১৯৮৮), নয়ন (১৯৯৫), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬) প্রভৃতি।
এ ছাড়া এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে সুজন-সখী (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), জীবন সংসার (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) প্রভৃতি।
বরেণ্য এই অভিনেতা ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ