জবি প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেছেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে ছিলো আমাদের স্বাধীনতা আটকে দেয়ার জন্য।সেই সময়ে তাদের জনগন ও বহু জন প্রতিনিধি আমাদের পক্ষে ছিলো।যদিও তাদের সরকার আমাদের বিপক্ষে ছিলো।আমরা সারা বিশ্বের মানবিকতার সমর্থন পেয়েছিলাম।
বুধবার (২৪ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: পেছন ফিরে দেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন পাকিস্তান কাঠামোতে কখনও পূর্ব বাংলার মানুষের উন্নতি সম্ভব নয়। বাঙালি জাতির জন্য তিনি আলাদা স্বাধীন ভূখন্ড চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রথমে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিজের মধ্যে ধারণ করেন এবং পরবর্তীতে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডে জিয়ার ভূমিকার কারণে শুধু ইতিহাসবিদই নয়, পুরো জাতির নিকট জিয়া শ্রেষ্ঠ খলনায়ক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে দেশকে ক্রমশ উন্নতির দিকে ধাবিত করছেন। দেশে অসাম্প্রদায়িক লোক যেমন রয়েছে, তেমনি সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী লোকও রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর আদর্শভিত্তিক রাজনীতির বিপরীতে রয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বিরুদ্ধাচারণ ও অপরাজনীতি।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকারের বিষয়ে সজাগ ছিলেন। মেহনতী মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশকে গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী নিন্দিত। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পিছনে ছিলো সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্র। শুধুমাত্র সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি কার্যকর করলেই চলবে না। হত্যাকাণ্ডের সময় সহযোগীরা কোথায় ছিলো, পিছনের কুশীলব কারা ছিল- এসকল তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর কারা কারা প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করেছিলো, তাদেরকেও সম্মানীত করতে হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।
শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিএনএ নিউজ/এসবি