বিএনএ ডেস্ক: সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী দুই নারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোরে দেশত্যাগের চেষ্টার সময় তাদের আটক করা হয়। এরা হল তানিয়া ও শারমিন। আপন দুবোন। তাদের পিতা পিকে হালদারের প্রধান সহযোগী খবির উদ্দিন। পিপলস লিজিংয়ের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখিয়ে ৬৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়। খবির উদ্দিনের ২ মেয়ে শারমিন ও তানিয়া ২০০৩ সাল থেকে কানাডায় অবস্থান করছেন। তারা বিদেশে থাকা অবস্থায় একজন ৩২ কোটি এবং আরেকজন ৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন।
শুধু দুই মেয়েই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামেও খবির উদ্দিন ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রায় দুই শ’ কোটি টাকা ঋণ নেয়। যার একটি টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
বুধবার ভোর রাতে কানাডায় পালিয়ে যাবার সময় তানিয়া ও শারমিনকে রাজধানীর ধানমণ্ডি ও শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানায়, অ্যাম্বুলেন্স করে মালামাল আগেই বিমানবন্দরে পাঠায় এই দুই ঋণ খেলাপী।
বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল
এর আগে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছরের ১৬ মার্চ বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন পিকে হালদারের আরেক বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই।
উল্লেখ্য, সাড়ে তিন হাজার কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার। গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতে এ অভিযান চালানো হয়। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ,জিএন