ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থীদের কার্যত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, যার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠে।
তিনি মঙ্গলবার(২৩ জুলাই, ২০২৪) অন্য তিন মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিফিংকালে ঢাকায় আরও বলেন, ‘ইন্টারনেট না থাকায়, আমরা সমস্যায় পড়েছি। আমরা দেশের বাইরে কোথাও যোগাযোগ করতে পারছি না। এ অবস্থা বিদেশে তাদের গুজব সিন্ডিকেটকে গুজব প্রচারনাকে জোরদার করতে সহায়তা করবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা দেশের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দিয়েছে- উল্লেখ করে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন থেকে সুবিধা নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করতেই তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জানত যে, তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারলে, বিদেশে অপতথ্য পাঠানো সম্ভব হবে, যা বিশ্বগণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হবে এবং একপাক্ষিক মিথ্যা তথ্য পৌঁছে দেবে।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সন্ত্রাসীদের চালানো হামলার খবর প্রকাশ করা হয়নি, সরকার শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে, যা ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।
বিশ্বের কাছে অপতথ্যের বিরুদ্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশী সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ইন্টারনেট চালু করার চেষ্টা করছে। আপনাদের বিশ্বকে জানানো উচিত বাস্তবিক পক্ষে বাংলাদেশে কি ঘটেছে।
ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চালানো ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনারা দেখেছেন যে সন্ত্রাসী, হামলাকারী, জঙ্গি, বিএনপি ও জামায়াত-শিবির শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালায়। তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), সেতুভবন, ডাটা সেন্টার ও টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন সরকারী স্থাপনায় হামলা চালায়।
বিএনএ, এসজিএন