বিএনএ, গাজীপুর, এম. এস. রুকন : গাজীপুর জেলাতে প্রতিবছর যে পরিমাণে কুরবানির পশু জবাই করা হয়। সেই জবাইকৃত পশুর অবশিষ্ট যেমন, হাড়,শিং অণ্ডকোষ, নাড়িভুড়ি, মূত্রথলি, পাকস্থলী ও চর্বি বিক্রি করে বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হওয়া সম্ভব।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরের দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ী বাজার এলাকায় হাড় সংগ্রহ কারী এক ব্যবসায়ী আঃ জলিল মিয়া জানান, রাজধানীর পুরান ঢাকার হাজারিবাগ এলাকায় গড়ে উঠেছে এ ব্যবসার বাজার যা ‘হাড্ডিপট্টি’ নামে পরিচিত। তিনি বলেন, ভেজা হাড়, মাথা, দাঁত বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি, আর শুকনো হাড়ের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। কেজি হিসেবে পশুর অণ্ডকোষ ও লিঙ্গ ২৫ থেকে ৪০ টাকা, শিং ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চর্বি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রক্ত ৮ থেকে ১৫ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হাড় ওষুধের ক্যাপসুলের কাভার, সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। সারা বছর ধরে বিভিন্ন বাজার থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হলেও তা জমে ওঠে কুরবানির ঈদে।
সূত্র মতে, কারখানাগুলোয় প্রথমে হাড় শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। হাড়ের গুঁড়ো ক্যাপসুলের আবরণ তৈরির কাজে ব্যবহার হয়। পাশাপাশি হাড় ও হাড়ের গুঁড়ো বিদেশে রপ্তানি করা হয়। গরু, মহিষ ও ছাগলের শিং ভারতে রপ্তানি হয়। শিং দিয়ে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরি করা হয়। সাবান তৈরিতে ব্যবহার হয় চর্বি। রক্ত শুকিয়ে পোল্টি, পাখির খাবার তৈরি হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।