বিএনএ, ঢাকা: নৈতিক স্খলনে কী শাস্তি হয় তার প্রমাণ দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। নারী পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হোটেলে রঙ্গলীলা করতে গিয়েছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) কৃপা শংকর কানৌজিয়া। কিন্তু বিধিবাম। বিব্রতকর অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। আর এই ঘটনায় তাকে পদাবনতি দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই পদাবনতি এক ধাপ দুই ধাপ নয় পুলিশের একেবারে নিচের ধাপ কনস্টেবলে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে ডিএসপির এই পরকীয়া লীলার তিন বছর পর তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃপা শংকর উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের বিঘাপুরের সার্কেল অফিসার (সিও) পদে ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে কৃপা শংকর পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। তবে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়ি যাননি। তিনি ‘নিখোঁজ’ হন। কৃপা শংকরের হঠাৎ ‘নিখোঁজ’ হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার স্ত্রী। স্বামীর খোঁজ পেতে তিনি উন্নাওয়ের এসপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা কৃপা শংকর ছুটি নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের কানপুরের একটি হোটেলে। হোটেলে তার সঙ্গে ছিলেন এক নারী কনস্টেবল। হোটেলে ওঠার সময় কৃপা শংকর তার ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল দুটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ করে রাখেন। আর তার স্ত্রীর ‘নিখোঁজ’ অভিযোগের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের একটি নজরদারি দল উদ্ঘাটন করে, কানপুরের হোটেলটিতে পৌঁছানোর পর কৃপা শংকরের মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়।
উন্নাওয়ের পুলিশ তার মোবাইল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে দ্রুত হোটেলটিতে যায়। এরপর তারা হোটেলটিতে কৃপা শংকর ও এক নারী কনস্টেবলকে একসাথে দেখতে পায়। কৃপা শংকর ও নারী কনস্টেবলের হোটেলে প্রবেশের দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায়ও ধরা পড়ে।
পরে পুলিশ তদন্ত শেষে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর কৃপা শংকরকে কনস্টেবল পদে পদাবনতির সুপারিশ করে সরকার। এখন তাকে পদাবনতি দিয়ে রাজ্যের গোরখপুরের ২৬তম প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভারতের পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে মন্তব্য করেছেন উচিত শাস্তি দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তারা প্রমাণ করেছে অপরাধ করে কোন পুলিশ ও সহজে পার পায়না।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচ মুন্নী