বিএনএ ডেস্ক : প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি তার সমুদয় সম্পত্তি জনকল্যাণে বিশেষত দরিদ্র মানুষের কল্যাণে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন জীবন সায়াহ্নে উপনীত, জীবনের এই পর্যায়ে আমার তেমন কোন বৈষয়িক চাহিদা নেই। আমি অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি নই, তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সাধারণ মানুষের কল্যাণে দান করবো।’
সমূদয় সম্পত্তি দান করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আধ্যাত্মিক অনুভূতি থেকে যদি বলি, কোন মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তার সম্পত্তি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন না।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আপনি সম্ভবত জানেন, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট তাঁর নিকটজনদের বলেছিলেন- মৃত্যুর পর তাঁকে যখন কফিনে করে কবরে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন যেন তাঁর দুটি হাত কফিনের বাইরে বের করে রাখা হয়। যাতে মানুষ জানতে পারেন যে, তিনি খালি হাতে দুনিয়ায় এসেছিলেন এবং খালি হাতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন।’
ফাউন্ডেশন মূলত সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম এবং শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি স্কুল, কলেজ, নান্দনিক একটি মসজিদ ও অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছি। ফাউন্ডেশন এখন এসব কল্যাণমূলক কার্যক্রমকে প্রসারিত করবে।’
রাজনৈতিক এই ব্যক্তিত্ব বলেন, তার গ্রামের কিছু স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, ১৮০ বিঘা জমির উপর একটি খামার এবং ঢাকার বনানীতে স্ত্রীর মালিকানায় একটি বাড়ি রয়েছে। এগুলো এখন ফাউন্ডেশনের নামে থাকবে।
তোফায়েল আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) অন্যতম সহ-সভাপতি (ভিপি) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত শিল্পমন্ত্রী, ২০১৩-২০১৪ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রী এবং আবার ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনএ/ ওজি