31 C
আবহাওয়া
১০:৪৫ অপরাহ্ণ - জুন ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মুরগির দাম চড়া, ঊর্ধ্বমুখী আলু ও জিরা

মুরগির দাম চড়া, ঊর্ধ্বমুখী আলু ও জিরা

hfufv

বিএনএ ডেস্ক: দামের লাগাম এখনও টানা যায়নি প্রাণিজ আমিষের। চড়া দরেই কিনতে হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। এ অবস্থায় মুরগির বাজারে গেলে ‘মাথা ঘুরছে’ ক্রেতার। ঘাম ছুটে যায় জিরা আর আলুর বাজারের উত্তাপেও। কমেনি মরিচের ঝাল। এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনির মতো নিত্যপণ্যের বাজার আগে থেকে বেড়ে যাওয়া উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে।

মুরগির দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক তীব্র তাপমাত্রায় মুরগি মরে যাওয়া, উৎপাদন কমে যাওয়া ও পথে চাঁদাবাজিকে দায়ী করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা, নর্দ্দা, নতুনবাজার, জেয়ারসাহারা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে তদারকি নেই। তাই যে যার মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, তদারকি অব্যাহত রয়েছে। গতকালও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সারাদেশের ১৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ২১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে মুরগির মাংস। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। এক-দেড় মাস ধরে এ দরেই বেচাকেনা হচ্ছে ব্রয়লার। বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি জাতের মুরগি। এ মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকায়। অবশ্য, সপ্তাহ দু’য়েক আগে এ মুরগির কেজি ৪০০ টাকা ছুঁয়েছিল।

সুখবর নেই গরুর মাংসপ্রেমীদের জন্যও। প্রতি কেজি কিনতে গেলে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।

আব্দুল কাদের নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে গিয়ে ব্রয়লারের দাম শুনলে মাথা ঘুরছে। দুই কেজির একটা মুরগি কিনলে ৫০০ টাকা শেষ।’

একই বাজারের জরিনা ব্রয়লার হাউসের বিক্রয়কর্মী নাহিদ হাসান বলেন, ‘কাপ্তান বাজার থেকে সেগুনবাগিচায় মুরগি আনার সময় রাস্তায় সরকারদলীয় কর্মী ও পুলিশকে তিন দফায় চাঁদা দিতে হয়। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে দু-একটা মুরগি মরেও যায়। বিক্রির সময় আমাদের এসব বাড়তি খরচ হিসাব করে দাম নির্ধারণ করা লাগে।

মুরগির দর বাড়ার প্রভাব দেখা গেছে ডিমের বাজারে। বড় বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় ও এলাকাভিত্তিক ছোট বাজারগুলো থেকে এক হালি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। এ ছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরা ফার্মের সাদা রঙের ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

আলুর দরও দেখা গেছে অস্বাভাবিক। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারে ৫০ বা ৫২ টাকা দরে কেনা যাবে।

মসলার মধ্যে জিরার দাম মাঝে কিছুটা কমলেও আবারও বাড়ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। কারওয়ান বাজারের আব্দুর রব স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নাঈম বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পাইকাররা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন সব ধরনের মসলার।

এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে তদারকি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ