বিএনএ মিয়ানমার ডেস্ক : ১১২দিন অজ্ঞাত স্থানে বন্দী রাখার পর সোমবার(২৪মে) আদালতে হাজির করা হয় মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচিকে।রাজধানী নেপি দ এর আদালতে বিচারকের মুখোমুখি হবার পূর্বে প্রায় আধঘন্টা আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করেন সুচি। এ সময় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি(এনএলডি)কে দেশটির নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দিতে পারে জানানো হলে, ‘অং সান সুচি বলেন,মিয়ানমারে যতদিন জনগণ থাকবে ততদিন এনএলডি থাকবে’।সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান তার আইনজীবি থায়ে মং মং।
২০২০সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে এনএলডি জয় পেয়েছে ৩৪৬টি আসনে। কিন্ত পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ছির মাত্র ৩২২টি আসন। দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধীদল ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এরই মধ্যে উভয়পক্ষ আলোচনা চালাচ্ছিল, উত্তেজনাও চলছিল এবং ১ ফ্রেব্রিুয়ারি পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকা হয়।জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বে ১ফ্রেব্রিুয়ারি ভোরে মিয়ানমারে একবছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করে নেয়। বন্দী করা হয় এনএলডি প্রধান সুচি, দেশটির প্রেসিডেন্টসহ অনেক মন্ত্রী এমপিকে।
সেই থেকে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের কারাগারে বন্দী রয়েছেন তারা। আজ সোমবারের আগে তাদের প্রকাশ্যে আর দেখা যায় নি।
২০১১ সালে অর্ধ শতাব্দীর সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের পথে ফেরা মিয়ানমারে ২০২০ সাল ছিল দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন।
সোমবার সুচিকে আদালতে হাজির করা উপলক্ষে রাজধানী নেপি দ এর রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের গাড়ি দিয়ে আদালতে যাবার সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই সু চির (৭৫) বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখা এবং গত বছর নির্বাচনী প্রচারণায় করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে সেনা সরকার।
বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন