22 C
আবহাওয়া
১২:১৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু

বিএনএ ঢাকা: বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রূপান্তরিত হয়েছে। আগামি বুধবার শেষ বিকেলের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান অনুযায়ী অনুমান করা হচ্ছে, এটি বেশ শক্তি নিয়েই আঘাত হানবে এবং বেশকিছু সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন উপকূলে বৃষ্টি ঝরছে। সময়ের সঙ্গে এটি আরও বাড়বে। এজন্য উপকূলবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু হয়েছে। ঝড়ের সবশেষ তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের জন্য খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান  বলেন,  ঘূর্ণিঝড়টি এখনো সাগরে আছে। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হয়।সোমবার গভীর রাত বা  মঙ্গলবার ভোরে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সৃষ্ট লঘুচাপটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করে তা ঘনীভূত হয়ে প্রথমে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে এবং পরবর্তীতে আরও ঘনীভূত হয়ে বেলা ১২টায় একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের বাড়তি অংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

তথ্য সংগ্রহে নিয়ন্ত্রণকক্ষ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে । মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম সরওয়ার কামালের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। নিয়ন্ত্রণকক্ষের মোবাইল নম্বর হলো : ০১৩১৮২৩৪৫৬০।

এ বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, ‘বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা জন্য নতুন নয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ মনিটরিংসহ জরুরি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকৌশলীদের কাছে আক্রান্তদের জন্য মাস্ক, স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা হবে।

মাঠ পর্যায়ে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে লোকবল নিশ্চিত করাসহ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে। দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ স্টেশন ত্যাগ করতে পারবে না। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে উপকূলীয় জেলা খুলনা। ইতোমধ্যে জেলার ৯টি উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে।

খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ কোনো ঘূর্ণিঝড় ৪ নম্বর সংকেত না হওয়া পর্যন্ত প্রস্তুতি নেয়া হয় না। কিন্তু ‘ইয়াস’ বিধ্বংসী হতে পারে বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, উপকূলীয় এলাকার মানুষ সাধারণত ৭ নম্বর সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত ঘর থেকে বের হতে চান না। কিন্তু এরপরও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধুয়েমুছে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, চিকিৎসক ও অন্যান্য কার্যক্রম গুছিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার  পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামি পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপমাত্রা বইছে।  কিছু স্থানে এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ