বিএনএ ঢাকা: অপরিকল্পিত লকডাউন দেশকে কঠিন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের একেক সময় একেক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার(২৪এপ্রিল) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন,করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সমন্বিত বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বিলম্বে এসেছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের অনেক সময় পেয়েছিল।গত এক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগাম সমন্বিত একটি কার্যকরী রোড ম্যাপ প্রণয়ন করতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।কিন্তু তারা সেটি করেনি। করোনার মধ্যেই বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন করা হলো। পর্যটনের ক্ষেত্রেও লোকজনকে সীমিত করা হলো না। সরকার জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নেই বেশি ব্যস্ত ছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ভারতের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ করা দরকার। ক্ষমতাসীনদের ভুল সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতি লেজে-গোবরে হয়ে গেছে। টিকা সরবরাহের জন্য এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানকে একচেটিয়া সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার সমগ্র জাতিকে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।প্রথম থেকেই ভারতের বিকল্প সূত্র থেকেও টিকা কেনার পরিকল্পনা নিলে আজ এ নিদারুণ অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। বিএনপি প্রথম থেকেই এ কথাই বলে আসছিল। করোনা মোকাবেলায় প্রধান যে খাত- স্বাস্থ্যসেবা- সে খাতে গত ১ বছরেও সক্ষমতা বাড়েনি। বেড়েছে দুর্নীতি। এ সময় সরকার দুর্নীতির সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে।পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে দেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানান তিনি।এছাড়া, সরকারের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগ আনেন বিএনপির মহাসচিব।
বিএনএনিউজ/আরকেসি