28 C
আবহাওয়া
৩:৪৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ধেয়ে আসছে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট!

ধেয়ে আসছে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট!

করোনায় আরও ৯ হাজার প্রাণহানি

বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা : ভারতে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই মুহূর্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল দেশটি। এরই মধ্যে আবার নতুন করে নজরে পড়ল করোনার তৃতীয় মিউট্যান্ট স্ট্রেনের। সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই নতুন মিউট্যান্টের করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করা।

বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদি ঢুকেই পড়ে তবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ওটাকে সামাল দিতে প্রস্তুত নয় বলে শঙ্কা তাদের।

তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট রিপোর্ট হয়নি। কিন্তু যেহেতু ভারত লাগোয়া দেশ, বর্ডারগুলোও সীমিতভাবে চালু রয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতও রয়েছে, তাই দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট আসতে বেশি দেরি লাগবে না। এসে পড়লে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।

তারা বলেন,গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে করোনা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে।এবছর ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১২জনের।  যা গতবছরের তুলনায় ৩/৪গুণ বেশি।

কী এই ট্রিপল মিউট্যান্ট?

ট্রিপল মিউট্যান্ট হচ্ছে করোনার ভাইরাসের তিনটি স্ট্রেনের সংযুক্ত বা এক সঙ্গে উপস্থিতি। এই নয়া ভেরিয়েন্টের ফলে আবার বদলে যাবে করোনার উপসর্গ। অর্থাৎ, যে উপসর্গ এখনকার ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের ফলে হচ্ছে, অভিমুখ পরিবর্তন ঘটবে সেই উপসর্গের । আবার এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে একাধিক নতুন উপসর্গও, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা । এতদিন দুটি স্ট্রেন সংযুক্ত হয়ে সংক্রামিত করে চলেছিল। এবার তিনটি স্ট্রেনের নতুন ভেরিয়েন্ট বিপদের সম্ভাবনা আৰু কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দিল। আর এই ট্রিপল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া মানেই সংক্রমণের দ্রুততা আরও বাড়বেই।

কেন এ ভাবে একাধিক মিউটেশন তৈরি হয় ?

ভাইরাস নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, একটি ভাইরাস যতবেশি মানুষকে সংক্রামিত করবে, তার মিউটেশন তত বাড়বে। এক্ষেত্রেও সেটিই হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীর জিনোমের পরিবর্তনকে মিউটেশন বলে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বলা যায় , প্রাণী ক্ষুদ্র জাইগোট থেকে পরিণত প্রাণীতে রূপ নেয়।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে

ভারতের এই ডাবল বা ট্রিপল মিউটেন্ট যদি বাংলাদেশে চলেই আসে তবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সামাল দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এখনই তো সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সেখানে ওটা কী করে সামাল দেবো। আমাদের দেশে যা হবার তা-ই হবে। আমরা কিছু পারিনি, পারবোও না।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ তো দূরের কথা, সাধারণ বেডই পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে এলে কুলিয়ে উঠতে পারবো না আমরা। ভেঙে পড়বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।’

চার-পাঁচদিনের মধ্যে ফুসফুস সংক্রমিত

চিকিৎসকদের মতে, এবারে করোনা সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে কম বয়সিদের মধ্যে। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় কাজে যাচ্ছেন, যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেকের মানসিকতা তৈরি হয়েছে যে তাঁদের কিছু হবে না। কিন্তু তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে ও সাবধান থাকতে হবে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগে ছয়-সাতদিনের মাথায় করোনা আক্রান্ত হতেন, এখন তো চার-পাঁচদিনের মধ্যে ফুসফুসে সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছে, যা খুবই মারাত্মক।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ