30 C
আবহাওয়া
৪:১৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঢামেকে আনসার সদস্যদের হাতে আহত মৃত ছেলের মা

ঢামেকে আনসার সদস্যদের হাতে আহত মৃত ছেলের মা

ঢামেকে আনসার সদস্যদের হাতে আহত মৃত ছেলের মা

বিএনএ, ঢাকা : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ছেলের মাকে আনসার সদস্যদের মারধরে আহত হয়েছেন। তার নাম লিপি আক্তার(৩৮)। তার ছেলে আমিরহামজা (৯) নামে এক শিশু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যায়।

মঙ্গলবার রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত লিপিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মৃতশিশুটির বাবা মো. লিটন মিয়া জানান, ঢামেক ‘হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল আমিরহামজা। সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু ছেলের মৃত্যু বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি। এ সময় আমি আমিরহামজাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।

জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে বের হতেই আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং চার দিকের গেট আটকে দেন। এনিয়ে আনসাদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন আনসার সদস্য আমার স্ত্রী লিপিকে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করাসহ কিল-ঘুষি মারেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারধর করেন আনসার সদস্যরা। আনসার সদস্যরা বেপরোয়ার হয়ে গেছে। তারা রোগীদের সেবা দিবে কি তারাতো রোগীর স্বজনদের মারার জন্য সব সময় প্রস্তুত নিয়ে থাকে?

আহত লিপি আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যাবো, আনসার সদস্যরা কেন বাধা দেবে? এটা বলাতে তারা আমাকে মারধর করেছেন। আমার স্বামী ছাড়াতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আমি এর বিচার চাই।

জরুরি বিভাগে থাকা কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, একজন নারীর ওপরে হাত তুলেছেন আনসার সদস্যরা। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। একে তো তার ছেলে মারা গেছে, এতে তার মাথা ঠিক থাকার কথা না। মা-তো পাগলামী করতেই পারেন। তাই বলে একজন নারীর গায়ে হাত দেবে!

মৃত শিশুর বাবা মো. লিটন মিয়া আরও জানান, তাদের বাসা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল কুনিপাড়া এলাকায়। তার একমাত্র ছেলে আমিরহামজা গত ১৯ মার্চ সকালের দিকে পূর্ব নাখালপাড়া এলাকায় একটি কারখানার টিনের ছাদে ঘুড়ি ধরতে যায়। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সেই দিনই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

ঢামেক হাসপাতালের আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগের মৃত শিশুর স্বজনদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যদি কোনো আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে নারীকে মারধর করার প্রমাণ মেলে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু আনসার সদস্য কেন? অন্য কেউ-ই কোনো নারীর গায়ে হাত দিতে পারেন না। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আজিজুল,জেবি

Loading


শিরোনাম বিএনএ