বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম। জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারাই দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ১১টি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চুড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইসস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি একেবারে শিশু-কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা এই এসব প্রকাশনাগুলো পড়লে জাতির পিতা সম্পর্কে যেমন জানতে পারবে, তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবে।’
তিনি বলেন, উন্নয়ন শুধু শহর ভিত্তিক নয়, একেবারে তৃণমূল থেকেই সরকার উন্নয়ন করছে। সেক্ষেত্রে এ ধরণের প্রকাশনায় মানুষ যেমন ইতিহাসকে জানতে পারবে, সত্যকে জানতে পারবে, আবার এ ভেতর থেকে নিজেরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থা তা ১৩/১৪ বছর আগেও এমন ছিলনা, এটা হলো বাস্তবতা। কিন্তু সরকার সে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্বাচিত ১৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী ১শ’ জনের মাঝে নির্বাচিত ১০ জনকে অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিম সংগ ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, হৃদয়ের বাতিঘর’ পরিবেশন করা হয়।
বিএনএ/ এ আর