বিএনএ ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদে দেয়ার জন্য প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। বুধবার সংসদ অধিবেশনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
বিলে দুইটি পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:-বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি এবং কমিশনার হতে হলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।
কমিটির পক্ষ থেকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাজাপ্রাপ্তদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। যোগ্যতা-অযোগত্যার জায়গায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ সিইসি কিংবা কমিশনার হতে পারবে না। সেভাবেই সংসদে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য বৈঠকে কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সেলিম আলতাফ জর্জ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ গত রোববার সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি