বিএনএ ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আগামি এক সপ্তাহ পর করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে। সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। মানুষকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে যে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ সচেতন হওয়া শুরু করেছে। তাদের কাছে বার্তা চলে গেছে। সবাইকে জানিয়ে ভ্রাম্যমান কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তখন বলার একটা যৌক্তিকতা থাকবে যে, আগে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ সংক্রমণ বাড়তে থাকবে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তোরণ করতে চায় সরকার। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখা যাচ্ছে সেটি হলো ওমিক্রন। এটি থেকে সেরে উঠতে অল্প সময় লাগছে। রিকভারি রেটও খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন।
গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ না মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরকে এই ব্যাপারে সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে সবাই ভালো একটি রেজাল্ট পাবে। অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস করার বিষয়টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এখন সবাই তৃতীয় ঢেউয়ে আছে। যেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই রকম নির্দেশনা ছিল, সেগুলো বাস্তবায়ন করা গেছে। যার কারণে অর্ধেক সংখ্যক নিয়ে যে অফিস করা প্রাকটিস আছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি