বিএনএ,সিলেট:সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়েছে।আগামি বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার(২৪ জানুয়ারি)সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন থাকলেও সাক্ষী না আসায় বিচারক মোহিতুল হক পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম।
তিনি জানান, এসমি কলেজ ছাত্রবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছিল আদালত। কালে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আসামিদের হাজির করা হলেও সাক্ষী না আসায় পিছিয়ে যায় সাক্ষ্যগ্রহণ।
সে সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা ধর্ষণ মামলা ও ধর্ষিতার স্বামীর কাছে চাঁদাদাবি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগের অপর মামলাটি সেইসঙ্গে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করে বুধবার সাক্ষীদের আদালতে রাখার রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান জানান, একই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দুই আদালতে বিচারকাজ পরিচালিত হলে বিচারে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।এতে ন্যায়বিচার পাওয়া ব্যাহত হতে পারে।তাই দু’টি মামলাই একই আদালতে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।শুনানি শেষে তা না-মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
গত বছরের তিন ডিসেম্বর মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী সাইফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত আর দুইজনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরাসরি জড়িত অভিযুক্তরা হলেন, প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি,তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া।আর সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে।
এর আগে ডিএনএ টেস্টেও গ্রেফতার আসামিদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়।মামলায় গ্রেফতার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।এ ঘটনায় পরদিন সকালে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী।বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি