বাণিজ্য ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রবাসীদের এই রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে প্রধান পাঁচটি দেশ থেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলে এর প্রবাহ কমে গেছে। তবে বাকি পাঁচটি দেশ থেকে বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সেখানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর- এই ৫ মাসে গত বছরের তুলনায় সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে গড়ে রেমিট্যান্স কমেছে ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, মালয়েশিয়া এবং ওমান থেকে রেমিট্যান্স বেড়েছে গড়ে ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ২৪ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে ওইসব দেশ থেকে কমে যাওয়া উদ্বেগের কারণ। কারণ রেমিট্যান্স আসার শীর্ষ দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী কর্মরত। ওইসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স কমে গেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শীর্ষ দেশগুলো থেকে কেন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে এর কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেননা, বিদ্যমান ডলার সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় হচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো। এটি কমে গেলে সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়বে। ফলে মন্দার ধকল কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আরও বেশি সময় লাগবে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হুন্ডি বন্ধ করে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিদেশে ব্যাংক কর্মকর্তারা সফরে যাবেন। তারা রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যাপারে সরেজমিন দেখে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। প্রবাসীদের ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকগুলো বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে। গড়ে সরকারি ও ব্যাংক মিলে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো হচ্ছে। হুন্ডি নিরুৎসাহিত করতে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি দেশে প্রবাসী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ