বিএনএ,ডেস্ক: সম্প্রতি অসুস্থ হওয়ায় তাকে কোথায় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচিত জনরাও জানেন না কোথায় মাসুম বাবুল? অবশেষে তার শিষ্য হাবিব ও মঞ্জুর কাছ থেকে জানা গেলো তাদের প্রিয় ওস্তাদ অসুস্থ। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের বাড়িতে গিয়ে এ খবরের সত্যতা মেলে।
তবে আগের চেয়ে সুস্থ বলে দাবি করেন স্বল্পভাষী এই নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল। জানান, চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। সেপ্টেম্বরে ধরা পরে ক্যান্সার। অক্টোবরে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাই। সেখানকার চিকিৎসকবৃন্দ জানিয়েছেন এটা কিউরেবল। এর মধ্যে তিনটি ক্যামোথেরাপি দিয়েছি। আরো তিনটি দিতে হবে।
চিকিৎসক বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরায় উৎকণ্ঠা কম। তারপরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য বাসায় কাউকে এলাউ করি না।
‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োগ্রাফিতে একমাত্র বাংলাদেশি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে পেরেছি এটাই আমার পয়ত্রিশ বছরের ক্যারিয়ারের বড় অর্জন বলে মনে করি। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের পৈত্রিক বাড়িতে শুয়ে এমন কথা বলছিলেন বিংশ শতকের নব্বই এবং একবিংশ শতকের শূন্য দশকে ঢালিউডের অন্যতম ব্যস্ত ক্যারিশমাটিক নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল। হাজার সিনেমায় কাজের দক্ষতায় অর্জন করেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (দোলা, কি যাদু করিলা, একটি সিনেমার গল্প)।
সহকর্মীরা যোগাযোগ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুম বাবুল বলেন- জায়েদ খান, জয় চৌধুরী, নিপুন ওরা সবসময় খোঁজ নিচ্ছেন। ফেরদৌস আর আমিন খান শুরু থেকেই লেগে আছেন। ওদের ভালোবাসার কারণেই হয়তো দ্রুত সুস্থ হয়ে প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে ফিরতে হবে।
একপর্যায়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তানিশা আপ্যায়নে ব্যস্ত হন। বিদায় নেবার সময় জানান- আগের চেয়ে আব্বু একটু বেটার আছে। সময় লাগবে তবে সকলের দোয়া ও ভালোবাসা থাকলে দ্রুতই তিনি ভালো হয়ে যাবেন। সবাই আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের আঙ্গিনায় পা রেখেছিলেন মাসুম বাবুল। ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তারকা নৃত্যপরিচালক হিসেবে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যান। বেদের মেয়ে জোসনা, মায়ের দোয়া, দাঙ্গা ফ্যাসাদ, দাঙ্গা, বন্ধু আমার, চাকর, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, প্রেম দিওয়ানা, অন্ধ প্রেম, অবুঝ সন্তান, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, দেন মোহর, আঞ্জুমান, স্বপ্নের ঠিকানা, মায়ের অধিকার, কোটি টাকার কাবিন, শুটার, ডনগিরি প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
বিএনএ/ রিপন রহমান খান, ওজি