বিএনএ,চট্টগ্রাম: সমাজের অবহেলিত পিতৃ-মাতৃহীন শিশুরা জীবনের নানা অপূর্ণতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদেরও ইচ্ছা হয় বাবা-মায়ের হাত ধরে সুপারশপে প্রবেশ করে পছন্দের জিনিস কিনতে। কিন্তু বাস্তবতার কষাঘাতে পিতা-মাতার অনুপস্থিতিতে দারিদ্র্যের ছোবলে এমন ইচ্ছা কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে যায়।
সমাজের এমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইচ্ছার বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ” ‘শপ উইথ কপ’খুশির ঝুড়ি হাতে, চলি পুলিশের সাথে”। এসময় টাকা ছাড়াই ইচ্ছেমতো বাজার করেছে সুবিধাবঞ্চিত ৬০ শিশু।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) নগরীর গোলপাহাড় মোড় এলাকায় অবস্থিত স্বপ্ন সুপারশপে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। ইলমুল কোরান একাডেমী, প্রবর্তক সংঘ, বকুলতলা বস্তি ও টাইগারপাস বস্তি থেকে সুবিধাবঞ্চিত ৬০ জন শিশুকে নিয়ে আসা হয়। পরে পছন্দ অনুসারে সুপারশপ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস নেয় তারা।
পুলিশের এ আয়োজনে সুপার শপ ‘স্বপ্ন’, রেস্টুরেন্ট বারকোড এবং সামাজিক সংগঠন যাত্রী ছাউনী সার্বিক সহায়তা দেয়।
এ সময় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতোমধ্যে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এরই অংশ হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইচ্ছা পূরণের জন্য ‘শপ উইথ কপ’শিরোনামে এ আয়োজন করা হয়েছে।
ইলমুল কোরআন একাডেমী থেকে আসা আনিসুর রহমান জানায়, চকলেট, বিস্কিট, কেক, দুধসহ অনেক কিছু নিয়েছে সে। এসব পেয়ে সে অনেক খুশি।
উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের হাত ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সুপারশপ থেকে তাদের পছন্দের জিনিসসমূহ ক্রয় করে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যায়। উত্তর বিভাগে কর্মরত সকল স্তরের পুলিশ সদস্যগণ নিজ বেতন হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত এসকল শিশুদের অপূর্ণ ইচ্ছা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) এস এম মোস্তাক আহমদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিএনএনিউজ/মনির