বিএনএ,ঢাকা: জিয়াউর রহমান একজন বিচক্ষণ ও ধূর্ত ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে তিনি পেছনে থেকে কলকাঠি নেড়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আগে মোশতাককে ক্ষমতায় বসিয়েছেন।পরে তাকে সরিয়ে নিজেই ক্ষমতায় আসেন। আর ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতাবিরোধীদেরপু পুনর্বাসন করেছেন।দেশে এত রাজনীতিবিদ, কিন্তু জিয়াউর রহমান কাউকে পাননি। তিনি প্রধানমন্ত্রী করেছেন স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার প্রতিনিধির ডেপুটি প্রধান হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে বলেছেন, এখানে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশে মৌলবাদী অপশক্তিকে সবসময় ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহার করেছে বিএনপি।যারা পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল, জিয়াউর রহমান তাদের পুনর্বাসিত করেছিল।আর তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, যারা ধর্মকে পুঁজি করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক করছে, তাদের কাছে ধর্মকে লিজ দেয়া হয়নি।যারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলেছিল, তারাই আজ ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক করছে।ভাস্কর্যবিরোধীদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেছে এবং তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাস করে।বিভিন্ন সময়ে তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।এখনও তারা ধর্মের মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।পাকিস্তান আমলেও দেখা গেছে যখন গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন করেছে, তখন আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান ধর্মের দোহাই দিয়েছে।কিন্তু তারা কখনই ধর্মের ধারে কাছে ছিল না।আজ যারা ধর্মের দোহাই দিচ্ছেন, তাদের কাছে ধর্ম লিজ দেয়া হয়নি বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি নানান অজুহাতে বিশৃঙ্খলার পথ বেছে নিয়েছে।তারা অন্যের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে।স্বাধীনতার ৫০ বছরের পথচলায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করতে অনেক অপচেষ্টা হয়েছে।কিন্তু যে চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল,সেই চেতনা ধারণ করেই বাংলাদেশ পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি