বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে আসেন, কার কত দৌড় আমরা সেটা দেখি। জনগণ কাকে চায় সেটা আমরা যাচাই করে দেখি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের দলীয় প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করতে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দলের মাথা কোথায়। বিএনপি কি বাংলাদেশে একটা নেতাও পেল না, যাকে দলের চেয়ারম্যান করতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার নাইকো কেসে কানাডার পুলিশ এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে। যারা এ রকম দুর্নীতিবাজ, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো হামলা ঘটাতে পারে, তাদের নেতৃত্বে যে দল, কোন বিশ্বাসে তারা ইলেকশনে আসবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তারপরও আমি বলব, দল যখন আছে, আর কিছু না হোক নির্বাচনে নমিনেশন বিক্রি করা- এটাও তো তাদের একটা ব্যবসা। এর আগে সে ব্যবসাই তারা করেছে। হয়তো সে ব্যবসা করতে পারে। সে জন্য নির্বাচনে আসুক, আমি সে আহ্বান জানাই।
ইতিমধ্যে যেসব দল নির্বাচনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটুকু বলতে পারি যে এবারের নির্বাচন; কেন আওয়ামী লীগের আমলে প্রত্যেকটা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হয় এবং এবার আমি বারবার নির্দেশনা দিয়েছি যে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচন করব। এখানে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না, নির্বাচন কমিশন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, সেটাই আমরা চাই।
কেউ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাদের বলব, আপনারা নির্বাচনে আসেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজেরাই আহ্বান করেছি, যদি পর্যবেক্ষক আসতে চায় আসবে। আমাদের এখানে কোনো দ্বিধা নেই। কারণ আমাদের জনগণের ভোট চুরি করা লাগবে না। জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আমাদের ওপর আছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার যে সার্ভে, সে রিপোর্টেও সেটা এসেছে যে আমাদের ওপর জনগণের কতটা আস্থা আছে। সে আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।
বিএনএনিউজ/ বিএম