কক্সবাজার প্রতিনিধি: টেকনাফ উপজেলায় আত্মসমর্পণ করা ১০১ জন ইয়াবা কারবারির প্রত্যেককে দেড় বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তবে অস্ত্র মামলায় ১০১ জনের সবাইকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার(২৩নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৭ আসামি কাঠগড়ায় ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর তাঁরা দাড়িয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফরিদুল আলম জানান, ১০১ জনের প্রত্যেককে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। তবে অস্ত্র মামলা প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে আদালতে আনা হয় কারাগারে থাকা ১৭ আসামিকে। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
নথি পর্যালোচনায় আদালত বলেন, ২০১৯ সালে ৩৭ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আত্মসমর্পণকারী আসামিরা উদ্ধার করা আলামত তাদের বলে স্বীকার করেন। অস্ত্র মামলায় ৩৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেনি। মামলা চলাকালে সোহেল নামে এক আসামি কারাগারে মারা যান। আত্মসমর্পণের পর তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩০টি দেশীয় তৈরি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ তথ্য জানায় টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করে পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল যাচাই, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াসহ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
বিএনএ