বিএনএ, কুমিল্লা: ১০ শর্তে বিএনপিকে কুমিল্লায় গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজিব চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই অনুমতিপত্র প্রদান করা হয়। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন ও বিএনপির ত্রাণ ও পূণর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন।
সমাবেশের অনুমতির শর্তগুলি হলো- মাইক সীমিত রাখা ও মিটিং-মিছিল না করা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য রাখা যাবে না। ব্যানার-ফ্যাস্টুন ইত্যাদি ব্যবহার সীমিত করতে হবে। ব্যানার-ফ্যাস্টুন, পতাকা স্ট্যান্ড হিসেবে কোনো লাঠি ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশ বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে শেষ করতে হবে। মাইকের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে। উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। যানবাহনসমূহ শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। মোটর শোভাযাত্রা ও মিছিল করা যাবে না। সমাবেশে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়ার পথে কোনো প্রকার নাশকতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড তথা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কর্মকাণ্ড করা যাবে না। সমাগত নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ তথা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে। স্টেজ তৈরির সাথে যারা জড়িত তারা ছাড়া অন্য কেউ সমাবেশ শুরুর পূর্বে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া জানান, পরিবেশ পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই করতে হয়। এতোসব শর্ত মেনে বিশাল একটি সমাবেশ করা সম্ভব না। তবে আমরা সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে এ সমাবেশ সফল করতে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
বিএনপির ত্রাণ ও পূণর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চাই। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে এটাই সবশেষ কথা। আসার পথে আমাদের নেতাকর্মীদের যেন বাধা না দেয়া হয়।
বিএনএ/এমএফ