বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করা হাতির আক্রমণে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে ২৪ ঘন্টায় এক বৃদ্ধা ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই জন হলেন, কর্ণফুলী উপজেলার মো. আকবর (৩৫) ও আনোয়ারা উপজেলার হালিমা খাতুন (৬৫)।
এর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার বড়উঠান (৬ নম্বর ওয়ার্ড) দক্ষিণ শাহমীর পুর গ্রামের সুন্দরী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সুমন বলেন, হাতির আক্রমণে আমার এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই হাতির অত্যাচারে আছি। তবে সংশ্লিষ্টরা কেউ এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এর আগে আনোয়ারায় হাতির আক্রমণে হালিমা খাতুন (৬৫) নামের এক গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উপকারভোগীর মৃত্যু হয়েছে। বটতলী গ্রামের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নিহত হালিমা খাতুন রায়পুর ইউনিয়নের চুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ নুরের স্ত্রী। তার ৭ ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ৪টি হাতির একটি পাল নতুন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এলাকায় ঢুকে পড়ে। ভয়ে পাড়ার অনেকেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা হাতির পাল তাড়িয়ে দেন। রাত ১০ টার দিকে নিহত হালিমা খাতুন একই এলাকায় পুরাতন গুচ্ছগ্রাম এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে হাতির আক্রমণে শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়। সকালে স্থানীয়রা পাহাড়ে তার লাশ দেখতে পায়।
নিহতের ছেলে সালাহ উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে আমার বাবা মারা যায়। ভিটে-মাটি না থাকায় তৎকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ২০১১ সালে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে একটি ঘর পায়। তখন থেকে বসবাস করে আসছি। গতকাল রাতে হাতির আক্রমণে মাকেও হারিয়ে ফেলেছি। যতদিন হাতিগুলো দেয়াং পাহাড়ে থাকবে ততদিন এ এলাকার কেউ নিরাপদ নয়। তাই আমরা দ্রুত হাতির অপসারণ চাই।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, হাতির আক্রমণে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের এক উপকারভোগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে এই প্রাণহানি বন্ধ করতে আমরা একটা সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করতে চাই।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ হাসনা